ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার নিয়ম ।
ড্রাইভিং লাইসেন্স হচ্ছে প্রত্যেকটা গাড়ির দলিল স্বরূপ। ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মাধ্যমেই বোঝা যায় গাড়িটি বৈধ মালিকানা রয়েছে কিনা। গাড়ি কেনার সময় প্রত্যেকটা ব্যক্তিকেই ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হয়। ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সময় একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সেটার মেয়াদ থাকে। সে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তখন সে ড্রাইভিং লাইসেন্স কোন কাজে আসে না। তখন সেই ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করতে হয়। কিন্তু অনেকেরই জানা নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার নিয়ম। তাই আজকের এই পোস্টে ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার নিয়ম জানাবো।

ড্রাইভিং লাইসেন্স সকল পেশাদার অপেশাদার ড্রাইভার এর জন্য একটি অপরিহার্য ডকুমেন্ট। একটি প্রত্যেক ড্রাইভারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কোন ড্রাইভার এর গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকে তাহলে সেটা আইনত অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়।
যাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে তাদের সকলেরই একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য লাইসেন্স করা হয়।বাংলাদেশ সড়ক আইন অনুযায়ী মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মেয়াদকাল ১০ বছর হয়ে থাকে এই ১০ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর আবার লাইসেন্সটি নবায়ন করতে হয় যেটাকে ইংরেজিতে বলা হয় driving license renew।
নবায়ন ফরম।
নবায়ন ফরম পূরণের ক্ষেত্রে লক্ষণীয় বিষয়গুলো হলো যদি আবেদনকারী বিবাহিত হন সে ক্ষেত্রে তার স্ত্রীর নামও মোবাইল নম্বর দিতে হবে।যদি অবিবাহিত হন সে ক্ষেত্রে তার পিতার নাম অথবা মাতার নাম দিতে হবে। এই ফরম আপনি চাইলে অনলাইনে পূরণ করতে পারবেন।
ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন ফি।
লাইসেন্স এর মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে সেটা আবার নবায়ন করতে গেলে আপনার কিছু টাকা প্রয়োজন হবে। আমাদের মাঝে এমন অনেকে আছে যারা জানেনা ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করতে কত টাকা লাগে। এখান থেকে জেনে নিতে পারবেন ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করতে কত টাকা লাগে।
- অপেশাদার লাইসেন্স ১০ বছরের নবায়ন ফি সহ সর্বমোট ৪,৪৯৭ টাকা।
- পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ০৫ বছরের নবায়ন ফি সহ সর্বমোট ২,৭৭২ টাকা।
- এই পেমেন্টটা শুধু মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যেই গ্রহণযোগ্য।
- যদি ১৫ দিন পার হয়ে যায় প্রতি বছরের জন্য ৫১৮ টাকা জরিমানা দিতে হবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন প্রক্রিয়া:
অপেশাদার
গ্রাহককে প্রথমে নির্ধারিত ফি (মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিনের মধ্যে হলে ৪১৫২/- টাকা ও মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিন পরে প্রতি বছর ৫১৮/- টাকা জরিমানাসহ) জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিআরটিএর নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্র ও সংযুক্ত কাগজপত্র সঠিক পাওয়া গেলে একইদিনে গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) গ্রহণ করা হয়। স্মার্ট কার্ড w প্রন্টিং সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়।
পেশাদার
পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সধারীদেরকে পুনরায় একটি ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষায় উত্ত্তীর্ণ হওয়ার পর নির্ধারিত ফি ( মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিনের মধ্যে হলে ২৪২৭/- টাকা ও মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিন পরে প্রতি বছর ৫১৮/- টাকা জরিমানাসহ ) জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিআরটিএর নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) গ্রহণের জন্য গ্রাহককে নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে উপস্থিত হতে হয়। স্মার্ট কার্ড প্রিন্টিং-এর সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়।
আরো পড়ুন : ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার নিয়ম । এসএমএসে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার নিয়ম।
ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন এর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।
১। নির্ধারিত ফরমে আবেদন।
২। রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট।
৩। ন্যাশনাল আইডি কার্ড এর সত্যায়িত ফটোকপি।
৪। শিক্ষাগত যোগ্যাতার সনদ;
৫। নির্ধারিত ফী জমাদানের রশিদ।
৬। সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ এর ছবি ও ১কপি স্ট্যাম্প সাইজ ছবি।
ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার নিয়ম । লাইসেন্স নবায়ন ফরম। ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন ফি।
এই পোস্ট টি সম্পর্কে কনো কিছু জানতে বা জানাতে চাইলে Tricks It এর কমেন্ট আফসান এ গিয়ে কমেন্ট করুন। পোস্ট টি ভালো লাগলে বন্ধু দের মাঝে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ..!